নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২৫-এর কার্যক্রম শুরু করেছে। নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি, মৃত ব্যক্তির তালিকা হালনাগাদ এবং এনআইডি সংশোধনের সুযোগ ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। যারা এখনো ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হননি বা যাদের তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন, তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।
Table of Contents
ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২৫ কর্মসূচির সময়সূচি
- কর্মসূচি শুরু: বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
- সংশোধনের শেষ তারিখ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫।
- নতুন ভোটারদের যোগদানের সুযোগ: যাদের জন্ম ০১/০১/২০০৭ এর পূর্বে এবং আগে ভোটার হননি।
নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ
নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য নিচের কাগজপত্রগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে:
- অনলাইন জন্মসনদ।
- শিক্ষা সনদ (PSC/JSC/SSC ইত্যাদি)।
- নাগরিকত্ব সনদ।
- পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
- বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
- বিদ্যুৎ বিল/হোল্ডিং ট্যাক্স (যদি থাকে)।
- পানির বিল/ভাড়াটিয়া হলে বাড়ি ভাড়ার প্রত্যয়নপত্র।
- পাসপোর্টের কপি (যদি থাকে)।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)।
- টিন সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।
এনআইডি সংশোধনের প্রস্তুতি
যারা এনআইডি সংশোধনের জন্য আবেদন করবেন, তাদের জন্য কিছু জরুরি নির্দেশিকা:
- জন্মসনদ সংশোধন করুন:
- যাদের জন্মসনদ অনলাইনে নেই, দ্রুত এটি অনলাইনে রূপান্তর করুন।
- যদি জন্মসনদ এবং শিক্ষাসনদে তথ্য না মেলে, তবে সংশোধন করুন।
- পিতা-মাতার নাম মিলানো:
- পিতা-মাতার এনআইডি অনুযায়ী জন্মসনদ এবং শিক্ষাসনদ সংশোধন করতে হবে।
- রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা:
- রক্তের গ্রুপ অজানা থাকলে দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করুন।
মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া
মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
- মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করুন।
- স্থানীয় মেম্বার বা চৌকিদারের মাধ্যমে সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
- সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করুন।
পুরনো তথ্য যাচাই এবং সংশোধন
আপনি যদি ইতোমধ্যে ভোটার নিবন্ধন করে থাকেন এবং কোনো তথ্য বা কাগজপত্র হারিয়ে যায়, তবে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন:
- যে কোনো জেলা নির্বাচন অফিসে যান।
- Afis Machine ব্যবহার করে আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে তথ্য পুনরুদ্ধার করুন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদে অতিরিক্ত তথ্য
- ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি সম্পর্কে আরও জানতে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: www.ecs.gov.bd
- স্থানীয় নির্বাচন অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
ভোটার হওয়ার সময় সতর্কতা
ভোটার নিবন্ধনের সময় সঠিক এবং সত্য তথ্য প্রদান অত্যন্ত জরুরি। ভুল তথ্য প্রদানের জন্য দায়িত্ব নিতে হতে পারে। মনে রাখবেন, একাধিকবার ভোটার হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সমূহ
- ০১/০১/২০০৭ এর পূর্বে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা নতুন ভোটার হতে পারবেন।
- এনআইডি সংশোধনের শেষ তারিখ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫।
- জন্মসনদ এবং শিক্ষাসনদ তথ্য মিলিয়ে নেওয়া বাধ্যতামূলক।
- মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়ার জন্য মৃত্যু সনদ প্রয়োজন।
- Afis Machine ব্যবহার করে তথ্য যাচাই করা যাবে।
- পিতা-মাতার এনআইডি তথ্য সঠিক থাকলে জন্মসনদ সংশোধন সহজ হবে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কত্রিক ভোটার হালনাগাদ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রয়োজনীয় কিছু ছবিছবি ১
ছবি ২
ছবি ৩