নাগরিক অধিকার প্রয়োগের জন্য প্রতিটি ভোটারকে যে এলাকায় অবস্থান করছেন, সেই এলাকার ভোটার হতে হয়। চাকরি, শিক্ষা, বা জীবিকার তাগিদে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় স্থানান্তরিত হলে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও, স্থায়ীভাবে নতুন এলাকায় বসবাস শুরু করলে বা বদলিজনিত কারণে ঠিকানা পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। নিচে ভোটার স্থানান্তর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, নিয়মাবলী এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
Table of Contents
অনলাইনে ভোটার স্থানান্তরের নিয়ম:
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ফরম-১৩ পূরণ করতে হবে।
ফর্ম -১৩ ডাইনলোড
- অনলাইন আবেদন পদ্ধতি:
- জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফরম-১৩ ডাউনলোড করুন। (ফরম ডাউনলোড লিঙ্ক: election.gov.bd)
- সঠিকভাবে ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করুন।
- আবেদন জমা দিতে হলে নিজে নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হতে হবে।
- অফলাইন পদ্ধতি:
- সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করুন।
- ফরম পূরণ করার পর আবেদনকারীকে নিজে উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হবে।
ভোটার স্থানান্তর ফি:
- ঠিকানা পরিবর্তন ফি: ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য কোনো ফি প্রয়োজন হয় না।
- রিইস্যু ফি: নতুন ভোটার কার্ড পেতে চাইলে ২৪৫ টাকা ফি জমা দিতে হবে।
- ডেলিভারি চার্জ: সাধারণ ডেলিভারির ক্ষেত্রে ৩৪৫ টাকা।
- অনলাইন পেমেন্ট: সংশোধন বা নতুন কার্ডের জন্য অনলাইনে ফি পরিশোধ করতে হয়।
ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের সময় আবেদনপত্রের সাথে নিম্নোক্ত ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ফটোকপি।
- নতুন এলাকার নাগরিকত্ব সনদ।
- বিদ্যুৎ/পানি বিল বা ট্যাক্স রশিদ (ঠিকানা প্রমাণের জন্য)।
- বাড়ি ভাড়ার প্রমাণপত্র বা ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম।
- ফরম-১৩ এর ২য় পৃষ্ঠায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষর ও সিল।
বি. দ্র.: ভোটার এলাকা পরিবর্তন করলে নতুন কার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইস্যু হয় না। নতুন কার্ড নিতে হলে পুরাতন কার্ড জমা দিয়ে এবং নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে নতুন কার্ডের আবেদন করতে হবে।
ভোটার এলাকা পরিবর্তনে সময়কাল:
- আবেদন জমা দেওয়ার পর সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে ভোটার এলাকা পরিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
- বাস্তবে এটি ৭-১৫ দিন সময় নিতে পারে।
- সংযুক্তিগুলি সঠিকভাবে জমা দেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে আবেদন জমার পর স্ট্যাটাস চেক করুন।
- দেরি হলে সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।
ভোটার স্থানান্তরের সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা:
- স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা:
- চাকরি বা বদলির কারণে নতুন এলাকায় অবস্থান।
- স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে ঠিকানা পরিবর্তন।
- সুবিধা:
- নতুন ঠিকানায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করা সহজ হয়।
- নিজ এলাকার উন্নয়নে ভোট দিয়ে অবদান রাখা সম্ভব।
অতিরিক্ত তথ্য:
- ভোটার এলাকা যাচাই: আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনার ভোটার এলাকা পরিবর্তনের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে।
- ভোটার স্থানান্তর ফরম পূরণ: ফরম পূরণ করার সময় নির্ভুল তথ্য প্রদান নিশ্চিত করুন।
- নির্বাচন অফিসের ঠিকানা: নিজ এলাকার নির্বাচন অফিসের ঠিকানা ও সময়সূচি জেনে নিন।